ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হলো আসলে একটি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা নানাভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার করে। সাধারণত দেখা যায়, মাছের মধ্যে বিশেষ করে সার্ডিন, স্যামন, ম্যাকারেল- এইসব মাছের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর রয়েছে। 

আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখা, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখা, চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখা এবং অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। অতএব বোঝায় যাচ্ছে এই উপকরণ স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য কতটা উপকারি। কিন্তু যারা মাছ খেতে পারেন না গন্ধ লাগে বলে কিংবা আমিষ খাবার খানই না, তাদের ক্ষেত্রে কী কী খেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সঠিক জোগান শরীরে বজায় থাকবে সেটা জেনে নেওয়া যাক। 

সয়াবিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সোয়াবিন নিরামিষ খাবার হলেও এর গুণ অনেক। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পদও তৈরি করা যায় সয়াবিন দিয়ে। অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার হলো সয়াবিন। তাই সয়াবিন খেলে আমাদের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইনটেকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

চিয়া সিড— আজকাল প্রায় সবাই খেয়ে থাকেন। এই চিয়া সিডের মধ্যেও ভরপুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। প্রতিদিনই আপনি চিয়া সিড খেতে পারেন। ওজন কমাতেও এই বীজ দারুণ কাজ করে।

ফ্ল্যাক্স সিড অর্থাৎ তিসির বীজের মধ্যেও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এই বীজও রোজ খেতেই পারেন। স্মুদি কিংবা স্যালাডে চিয়া সিডের মতো ফ্ল্যাক্স সিডও মিশিয়ে খেতে পারেন। এই বীজ খেতে অনেকটা বাদামের মতো লাগবে। 

রাজমা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। ডালজাতীয় এই শস্য খেলে আপনার পেট খুবই ভালভাবে ভরে যাবে কারণ রাজমাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। প্রোটিন সমৃদ্ধ রাজমা খেয়াল রাখে আমাদের মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য। 

ব্রাসেলস স্প্রাউটস- ছোট্ট ছোট্ট বাঁধাকপির মতো দেখতে এই সবজিকে বলে সুপারফুড। এর মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। হার্টের খেয়াল রাখতে চাইলে এই সবজি পাতে রাখুন।

এসএম