নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে নন-নার্স প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ-পূর্বক উক্ত পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগের একদফা দাবিতে পতাকা মিছিল করেছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের ব্যানারে এই পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা তাদের এক দফা দাবি পূরণের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। আন্দোলনকারী নার্সরা জানান, আগে এই দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে পদায়ন করা হয়েছে, যা নার্সদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে ছাড়াও আজ দেশব্যাপী সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নার্সরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নার্সদের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হতে পারে, যা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে আনতে পারে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে পতাকা মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের রুনা আক্তার, সোনিয়া দাস, সাইক নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান এবং পটুয়াখালীর জহির-মেহেরুন কলেজের শিক্ষার্থী ডলি আক্তার।

গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের পেশাকে নিয়ে কটূক্তি করেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদানকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হয় নার্সদের।

টিআই/জেডএস