চিকিৎসা সেবার সংস্কার, গুণগতমান উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক সমাজ। তবে প্যানেলে মনোনীত সদস্যদের এক-এগারোর কুশিলব বলে আখ্যা দিয়ে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা এ সব কথা জানান।

এতে বলা হয়, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশে এক ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে নবজাগরণ হয়েছে। ছাত্র-জনতা আত্মাহুতি দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ঠিক সেই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য কাঠামো সংস্কারের জন্য যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চিকিৎসক সমাজ এই প্যানেল এর ব্যক্তিবর্গকে দেখে বিস্মিত ও হতবাক।

এই প্যানেলের আহ্বায়ক ১/১১ এর সুবিধাভোগী উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্যানেলের সদস্য সচিব বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ধারক ও বাহক। অন্যান্য বেশিরভাগ সদস্যবৃন্দ সরাসরি বিগত সরকারের সুবিধাভোগী। আমরা দ্বর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, এই ঘোষিত কমিটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের চেতনার সুস্পষ্ট পরিপন্থী। চিকিৎসক সমাজ এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছে।

আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশকারী চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পূনঃগঠন করে আন্দোলনের চেতনাকে বাস্তবায়ন করুন।

বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকের পক্ষে এই বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক অধ্যাপক ডা. বায়েছ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. মওদুদুল আলামগীর পাভেল ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এন এ কামরুল আহসান অধ্যাপক ডা. আজিজ রহিম, অধ্যাপক ডা. শামিমুর রহমান, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, ডা. রফিকুল হক বাবলু, অধ্যাপক ডা. হারুন-আল-রশিদসহ এক হাজার একজন চিকিৎসক।

টিআই/পিএইচ