ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে এডিস মশাবাহিত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হলো।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে ২৯৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮৬ জন।
ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৭২ জন, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ৪২, খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯, বরিশালের হাসপাতালে ২৮ ও ময়মনসিংহের হাসপাতালে ৭ জন এবং রাজশাহী ও রংপুরের হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
গত জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী ও ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ। এ সময় ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে।
২০০০ সালে দেশে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। ব্যতিক্রম ছিল ২০২০ সাল। ওই বছর করোনা মহামারি দেখা দেয়। দেশে ডেঙ্গু রোগী ছিল কম, সরকারি হিসাবে ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু ছিল না। করোনা মহামারি শেষ না হতেই ২০২১ সাল থেকে আবার ডেঙ্গু বাড়তে থাকে।
করোনা মহামারি শুরুর পরের বছর ২০২১ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে মারা যান ১০৫ জন। মৃতের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৭। পরের বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ২৮১ জন। এ বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুহার। ২০২২ সালে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৪৫।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭ জন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যুহার বেড়ে হয় শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।
কেএ