চিকিৎসকদের দাবির মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পদত্যাগের গুঞ্জনের খবরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন সপ্তাহের শুরুতেই তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পদত্যাগের সব প্রক্রিয়া তিনি সম্পন্ন করে রেখেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, স্যার (মহাপরিচালক) ঊর্ধ্বতন অনেকের সাথেই বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছেন। অধিকাংশই স্বেচ্ছায় পদত্যাগের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সবমিলিয়ে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

তবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই স্বাস্থ্য মহাপরিচালক পদত্যাগ করেছেন বলে চিকিৎসক মহলে আলোচনা ওঠে। চিকিৎসকদের আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পদত্যাগপত্র বাসা থেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। 

জানা গেছে,  বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুই দফায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সমসাময়িক বিষয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ে যান। তবে, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা তার সঙ্গে দেখা করেননি। এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাও সঙ্গে ছিলেন। তবে, তারা কেন সেখানে গিয়েছেন কিংবা পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো নির্দেশ পেয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। 

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তার অপসারণসহ দুই দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন হাসপাতাল-স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ে এসব দাবি মেনে না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুমকিও দেন তারা। 

চিকিৎসকরা দাবি করেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তারা বিক্রি হয়ে অবৈধ নিয়োগ-পদোন্নতি দিয়েছে। তাই আমরা বর্তমান ডিজিসহ সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ চাই। 

চিকিৎসকদের দুই দফা দাবিগুলো হলো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ দুর্নীতিবাজ সব কর্মকর্তাকে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করতে হবে এবং অবৈধভাবে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন পাওয়া সবকিছু বাতিল করতে হবে।

টিআই/কেএ