ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছ তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিটি বিভাগে এতদিন যে দুর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, আশা করি কর্তৃপক্ষ শিগগিরই এর সুষ্ঠু সমাধান করবে।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামের পক্ষে দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়েছে, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অনুপস্থিত থাকার কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ও ভেঙে পড়ছে। গত ১৬ বছরের দুঃশাসন, অবিচার ও নিপীড়নের জন্য সমগ্র বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিটি বিভাগে এতদিন যে দুর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগ কিংবা পদোন্নতির মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, আশা করি কর্তৃপক্ষ শিগগিরই এর সুষ্ঠু সমাধান করবে। আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো সব ধরনের প্রতিহিংসা ও অরাজকতা বন্ধ রাখার। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সকলের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, চিকিৎসকরা, নার্সিং কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

এর আগে বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেই পরিচালক-মহাপরিচালকসহ চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগই আতঙ্কে কর্মস্থলে আসছেন না। মোবাইলে তাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেছেন, জীবন নিয়ে তারা ভয়ে আছেন, হাসপাতালে এলেই হামলার শিকার হতে পারেন, এমনটা ভেবে তারা ঘরবন্দি হয়ে আছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য থেকে শুরু করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকসহ সিনিয়র চিকিৎসকদের বেশির ভাগই আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) অনুসারী। চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় ও শাখার নেতৃস্থানীয়রাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

টিআই/এসএসএইচ