প্রচণ্ড গরমে কিংবা বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। ঘামের মাধ্যমে শরীরে জমা টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। কিন্তু ঘামারও তো পরিমাণ রয়েছে। অকারণে অস্বাভাবিক হারে ঘাম হলে তা জটিল কোনো রোগের উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া হয়। ভয়, উদ্বেগ বা আতঙ্ক থেকেও অনেক সময়ে ঘাম হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলেও এই উপসর্গটি প্রকট হয়ে ওঠে।

অতিরিক্ত ঘাম ছাড়া এই ভিটামনের অভাবে আর কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?

হাড়ের ক্ষয়

হাড় মজবুত ও শক্তিশালী রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। যার জোগান দেয় ভিটামিন ডি। তবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ভিতর থেকে ক্ষয়ে যেতে থাকে।

অত্যধিক ক্লান্তি

শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে ঘটলে সব সময়ে একটা ক্লান্তি ঘিরে থাকে। অতি অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।

ওজন বৃদ্ধি

হু হু করে ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ কিন্তু হতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। শরীরে পরিমাণ মতো ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটলে বাড়তে পারে ওজন।

চুল পড়া

মূলত পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেই চুল পড়ে। কিন্তু চুল পড়ার আরও একটি কারণ হলো ভিটামিন ডি-র ঘাটতি। ভিটামিন ডি চুল ভালো রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। ফলে শরীরে ভিটামিন ডি যদি কোনো কারণে কমে যায়, তার একটি লক্ষণ হতে পারে চুল ঝরা।

ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া

ভিটামিন ডি শরীরের যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনো ক্ষতস্থান না শুকোয়, তা হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

জেডএস