ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান ও ঘুমও জরুরি।

ওজন কমানোর লড়াই শুরু করলে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। এতে ফল মিলতে পারে হাতেনাতে। 

• সকালের খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সকালের খাবার প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, টুকিটাকি খাবার ইচ্ছা কমে যায়। দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেটের বদলে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। সকালের খাবারে ডিম সেদ্ধ বা পোচ রাখা যেতে পারে।

• যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক-এর ডিপার্টমেন্ট অব হিউম্যান নিউট্রিশন, ফুডস অ্যান্ড এক্সারসাইজের অধীনে মানবদেহে পুষ্টি সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে পানি খেলে দ্রুত ওজন কমে। ১২ সপ্তাহ ধরে যারা পানি খেয়ে খাবার খেয়েছিলেন, দেখা গেছে, তাদের ওজন দ্রুত কমেছে। একই খাবার খেয়ে বাকিদের কমেনি। তারা খাবার আগে পানি খাননি।

• ফল, সব্জি, ডিম, মাংস, ওট্স শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়ক। বাজারচলতি ফলের রস বা পানীয় বর্জন করতে হবে। কারণ, এতে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। অনেক সময় উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে। যা ওজন কমানোর পক্ষে অন্তরায় হতে পারে।

• ওজন কমাতে গেলে শরীরচর্চাও জরুরি। সকালে উঠে হাঁটাহাটি বা হালকা ব্যায়াম শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে যদি নির্মেদ ও সুগঠিত শরীর পেতে হয়, তবে নিয়ম করে ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করতে হবে। ওজন নিয়েও ব্যায়াম করা জরুরি। 

• ওজন কমানোর সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক নিবিড়। পরিমিত খাওয়া, শরীর চর্চা, পানি খাওয়ার পরেও ওজন না কমার কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। ঠিকমতো ঘুম না হলেই হজমে সমস্যা হবে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরীর বিশ্রাম না পেলে, বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। হজমের অভাবে পেট ফোলা-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। বিপাকহার কমে যেতে পারে। ওজন ঝরাতে বিপাকহার ভাল হওয়া প্রয়োজন।

এনএফ