মুখ ও গলার ক্যান্সারের মধ্যে প্রধানত মুখগহ্বর, গলা, নাক, ঘাড়, জিভ, গলার গ্রন্থির ক্যান্সার পড়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো তামাকজাত দ্রব্যের অত্যধিক সেবন। কেবল সিগারেটেই সাত হাজার রকম রাসায়নিক আছে। যার মধ্যে ৭২টি ক্যান্সারের জন্য দায়ী।  

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের লক্ষণ ধরা পড়ে দেরিতে। যদি গলায় ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড হয়, তা হলে সতর্ক হতে হবে। খাবার খেতে সমস্যা, ঢোক গিলতে কষ্ট, ঘন ঘন কাশি এবং কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। 

নাক, কান, মুখ, গলা— শরীরের যে কোনো অঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। মলদ্বার থেকেও অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কোনো ঘা বা ক্ষত, তা শরীরের যেখানেই হোক, মুখে হলে আরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যদি অনেক দিন ধরে তা না সারে, তার পেছনে ক্যান্সারের ভূমিকা থাকতে পারে। এই ক্যান্সারের অনেকগুলো পর্যায় আছে। শুরুটা হয়তো জিভে বা গলায় হলো, ধীরে ধীরে লসিকা গ্রন্থিগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়বে, তার পর ফুসফুস অবধি ছড়াতে পারে ক্যান্সার। যত দেরি করে ক্যান্সার ধরা পড়বে, ততই সম্ভাবনা কমবে নিরাময়ের। 


 
প্রথম দিকে ধরা পড়ার পর চিকিৎসা করালে তা সারতে পারে। তবে চিকিৎসা মানে কিন্তু শুধু অস্ত্রোপচারটুকুই নয়। তার সঙ্গে রেডিয়েশন, কেমোথেরাপিও জরুরি। চিকিৎসার পরে প্রথম দু’বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ক্যান্সার আবারও ফিরে আসতে পারে। এই সময়টা খুব সংবেদনশীল। বার বার পরীক্ষা করানো জরুরি। ক্যান্সার নিরাময় হলেও বা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছর পাঁচেক পরীক্ষা করিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গেই জীবনযাপনে সংযম আনা জরুরি। তামাকজাত যে কোনো দ্রব্য বর্জন করতে হবে। এমনকি, মুখে দীর্ঘ সময় সুপারি বা পানমশলা রাখতেও নিরুৎসাহিত করছেন চিকিৎসকেরা। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখার উদ্দেশ্য স্রেফ রোগ ও রোগের লক্ষণ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া, চিকিৎসা নয়।  চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএফ