ডায়াবেটিসের রোগী ঘরে ঘরে। তাই খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়। সবার আগে চায়ের চিনি দেওয়া বন্ধ করুন। কিন্তু চা-কফি খাওয়া কি ছাড়েন? ডায়াবেটিস থাকলেও দুধ ও চিনি ছাড়া চা খাওয়াই যায়। কিন্তু কফি ডায়াবেটিসের রোগীদের কতটা উপযোগী, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কফি খাওয়া যাবে কি না, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কফির মধ্যে ক্যাফেইন ও পলিফেনলের মতো আরও অনেক রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা দেহে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাব ফেলে। এগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

কফির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে কড়াই করে এবং শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এগুলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

কফির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়া খুব কমন। কফি খেলেও এই সমস্যা কমবে। 

কফির মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্রোমিয়ামের মতো মিনারেল রয়েছে। এসব উপাদান টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তবে, কফির মধ্যে থাকা মিনারেল খাবার থেকে পুষ্টি শোষণেও বাধা দেয়, যা কিন্তু ক্ষতিকর।

গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ কফি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। ২০১৩-এর একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৪ বছর ধরে প্রতিদিন এক কাপ কফি খাওয়ায় ১১ শতাংশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমেছে।

অনেক সময় দেহে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন, ডিক্যাফেইনেটেড কফি খাওয়ার। 

কেএ