বর্তমানে কম-বেশি সবাই স্বাস্থ্য সচেতন। বিশেষ করে খাবারের চিনি খাওয়ার দিক দিয়ে। চিনি খেলে শুধুই যে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে, তা নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি ওজনও বাড়িয়ে দেয়। এই দুটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সবাই অবগত। তবে বেশ কিছু কম পরিচিত লক্ষণ আছে, যা অজান্তেই আপনার শরীরের ভয়ংকর রোগের বাসা বাঁধছে।

চিনি ওজন বৃদ্ধি এবং এনার্জি কমে যাওয়ার লক্ষণ ছাড়াও, এমন কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ রয়েছে যা আগে কখনও কেউ লক্ষ্য করেননি। এমন কিছু খাবারের আইটেম আছে, যা হয়তো হেলদি। কিন্তু সেগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি দেওয়া থাকে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

সেই খাবারের তালিকায় থাকে- লো-ফ্যাট দই, গ্রানোলা বারস, স্যালাড, পাস্তা সস, ইনস্ট্যান্ট ওটমিল। এই খাবারগুলো সাধারণত ডায়েটের ক্ষেত্রে অনেকেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু  অনেকের কাছেই অজানা যে এই খাবারগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি মেশানো থাকে। ফলে এগুলো শরীরে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে।

যেমন: সারাক্ষণ খিদে পাওয়া- চিনি মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে। ফলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

দুর্বলতা এবং ঘুমের অভাব- শরীরে সুগার লেভেল বেড়ে গেলে ক্লান্ত, অলস বোধ করতে পারে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হবে না।

মুড সুইং এবং বিরক্তিভাব- রক্তে শর্করার ওঠানামা মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। যার ফলে বিরক্তি, উদ্বেগ এবং এমনকি বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দেয়। 

অন্ত্রের সমস্যা- অতিরিক্ত চিনি খাওয়া অন্ত্রে ভাল এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। সম্ভাব্যভাবে ফুলে যাওয়া, অস্বস্তি এবং হজমের সমস্যা হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী সাইনাসের সমস্যা- উচ্চ শর্করার মাত্রা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ক্ষেত্রে শরীরে সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। 

জেডএস