আজকের পরিবর্তিত জীবনধারায় নিজেকে ফিট রাখা বেশ কঠিন। চিকিৎসকরা সুস্থ থাকতে অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। তার মধ্যে অন্যতম খেজুর। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং ভিটামিন বি৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। এতে রয়েছে অত্যন্ত কার্যকরী পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়া, খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো নানা খনিজ উপাদান রয়েছে, যা আমাদের হাড় মজবুত রাখে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

খেজুর ওজন কমায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই অল্পবয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এই ড্রাই ফ্রুটস খেতে বলা হয়। খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

খেজুরে যে ফাইবার থাকে সেটি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতেও কার্যকর। এতে আমাদের অন্ত্রের কার্যপ্রণালী ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ নানা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ট্রেস এবং প্রদাহজনিত জ্বালা কমায়। কিন্তু খেজুর খেলেই হল না। খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি খেজুর খাওয়া উচিত।

এমজে