দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু করেছে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে হাসপাতালটির পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় হাসপাতালের শায়লা-হাফিজ মিলনায়তনে বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন।

অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবায় একসময় মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা করে নিয়েছিল হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর থেকেই স্বাস্থ্যসেবায় গৌরবময় ভূমিকা রাখছে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। তবে বিগত দিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত।

ভবিষ্যতে হাসপাতালে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ চালু করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও হাসপাতালে একটি ডায়বেটিক সেন্টার চালু করার কথাও জানান তিনি।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এসএম খোরশেদ আলম জানান, সপ্তাহে ৬ দিন (শনি-বৃহস্পতি) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চলবে বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসাল্টেশন সার্ভিস। এসময় হাসপাতালের ১৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। মেডিসিন, গাইনি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক্স, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, চর্মরোগ, শিশু বিভাগ, সার্জারি ইত্যাদি বিভাগগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমে। টিকেট কেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিকট থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।

অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কানিজ মওলা, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দৌলতুজ্জামানসহ হাসপাতালের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/পিএইচ