দুপুরে খাওয়ার পর অনেকের ঘুম ঘুম ভাব হয়। অনেক সময় এই ঘুম থামানো কঠিনও হয়ে যায়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন দুপুরে বেশি ঘুম পায়? কেন শরীরে অলসতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভূত হয়?

দুপুরের খাবারের পর শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতার পাশাপাশি ঘুম এবং অলস বোধ হওয়া স্বাভাবিক নয়। খাবার খেয়ে ঘুম-সহ শরীরে হালকা ব্যথা অনুভব করাকে ‘ফুড কোমা’ বলা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খাওয়ার পর ঘুম আসার বিষয়টিকে অনেকে উপেক্ষা করেন। কিন্তু এটির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এজন্য দুপুরে কম খাবার খাওয়া উচিত। বেশি খাবার খেলে তা হজম করতে আরও শক্তির প্রয়োজন হয় এবং খাবার হজম করতে পরিপাকতন্ত্রের আরও বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়।

দুপুরের খাবার খেলে কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্কে রক্ত ​​চলাচল কমে যায়। শরীরের ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পায়। অলস লাগে এবং ঘুম পেতে শুরু করেন।

শরীরের কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। এর জন্য সকালে খাবার, দুপুরে ও রাতে খাবার খেতে হয়। এর থেকে যে পুষ্টি পাওয়া যায়, তা শক্তির উৎস হয়ে ওঠে। খাবার খাওয়ার পরই অন্ত্র খাবার হজম করতে শুরু করে। এ কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে, যার কারণে ঘুম আসে।

অনেক সময় শরীরের হরমোনও ঘুমের কারণ হয়। কখনো কখনো খাবার খাওয়ার পর দ্রুত সেরোটোনিন তৈরি হয়, যার কারণে ব্যক্তি অলস হয়ে পড়ে এবং ঘুম পায়। সেরোটোনিন একটি হরমোন, যা শরীরের অনেকগুলো কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের ভূমিকাও পালন করে। প্রোটিন থেকে সেরোটোনিন বৃদ্ধি পায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা সকালের খাবার বাদ দিয়ে সরাসরি দুপুরের খাবার খান, তাদের ঘুমের সমস্যা বেশি হয়। আসলে সকালের খাবার না খাওয়ার কারণে দুপুরের খাবারে ভারী খাবার গ্রহণ করা হয়। যা শরীরকে আরও অলস করে তোলে। সকালে হোল গ্রেন প্রোডাক্ট, ব্রাউন ব্রেড, ডিম, অমলেট এবং ফল খাওয়া ভালো। এছাড়াও সারাদিন সক্রিয় থাকার জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সময়ে সময়ে পানি পান করতে হবে। এতে শরীর অলস বোধ করবে না।

এসএসএইচ