অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে ঘরে ঘরে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। বলে রাখা ভাল, ইউরিক অ্যাসিড শরীরের এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ যা পিউরিন ভেঙে তৈরি হয়। গ্রীষ্মকালে এর ঝুঁকি বেশি থাকে। এ থেকে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা, বাত ইত্যাদি অনেক রোগ হতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। এর জন্য খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাত্রার ধরন বদলাতে হবে।

খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনাই এটি প্রতিরোধ করার সর্বোত্তম উপায়।

ইউরিক অ্যাসিড মোকাবিলায় কী কী খাবেন?

খুব বেশি প্রোটিন আছে, এমন কিছু খাওয়া যাবে না। যেমন- ডাল, ডিম ইত্যাদি। এছাড়াও যদি ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ দেখা দেয় তবে প্রথমে সেই সমস্ত শস্য খাওয়া বন্ধ করতে হবে যা দুটি গ্রুপে জন্মায়।

বর্ধিত ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে যা রক্তকে বিশুদ্ধ করে, প্রস্রাবের জ্বালা কমায় এবং বেশি প্রস্রাব করায় এমন জিনিসকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। যেমন হরসিঙ্গার। এটা ইউরিক অ্যাসিডের অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। হরসিঙ্গার অত্যন্ত ক্ষারীয় উদ্ভিদ এবং প্রায় সর্বত্র সহজেই পাওয়া যায়। হরসিঙ্গার বা তেঁতুল পাতার ক্বাত্থ টানা ১৫ দিন নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাহলে ইউরিক অ্যাসিড দ্রবীভূত হয়ে মূত্রনালীর মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। রোগের নিরাময় হবে।

এর সঙ্গে কুমড়োর রস, শসার রস, তরমুজের রস, চেরি জুস, আপেল ভিনেগার ইত্যাদি বা সমস্ত ক্ষারযুক্ত খাবার খেতে হবে, এগুলো রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

এমজে