বাঙালির জীবনে আলু সুপারহিরো। নানাভাবে, নানা পদে রান্না করা যায় এই সবজি। গৃহিণীদের মুশকিল আসান হয়েও ওঠে এই সবজি। বাঙালির কাছে আলু ‘কমফোর্ট ফুড’।

কিন্তু আলু খেলে ওজন বেড়ে কেউ মোটা হয়ে যায়? এ প্রসঙ্গে ভারতীয় পুষ্টিবিদ জি সুষমা বলছেন, সঠিক পরিমাণে ঠিক উপায়ে রান্না করে খেলে আলু খুবই উপকারী সবজি।

খোসা সমেত আলু খেলে ফাইবারসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। বেকিং, বয়লিং বা স্টিমিং পদ্ধতিতে রান্না করে খেলে যে কোনও ফাস্ট ফুডের তুলনায় আলু স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। আলুর সঙ্গে অন্যান্য সবজি, লিন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে সুষম আহার গ্রহণ করা সহজ হয়।

ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ একাধিক উপকারী উপাদান আছে আলুতে। সার্বিক সুস্থতা ও উপকারিতার জন্য এই উপাদানগুলি প্রয়োজনীয়।

আলুতে প্রচুর ফাইবার আছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের সব সমস্যা দূর করে। পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। ঘন ঘন খিদে পাওয়া এবং ওজন বেড়ে মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়।

আলুতে কার্বোহাইড্রেটস বেশি। তাই দিনভর কর্মশক্তির যোগান দেয় আলু। দ্রুত ক্লান্ত লাগে না। আলুর পটাশিয়াম রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখে।

আলুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস সাহায্য করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বশে রাখতে। আলু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

তবে আলু বেশি তেলে ভেজে খেলে চলবে না। রোজ ডায়েটে একটা আলু রাখুন। সেটা খান বেক বা সিদ্ধ করে। রান্না করেও খেতে পারেন। ব্লাড সুগার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আলু খান।

এমজে