বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষায় অধ্যয়নরত গবেষক চিকিৎসক-ছাত্রছাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা বিষয়ক গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সর্বমোট ৪৩৮ জনের হাতে ৫ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার গবেষণার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সর্বোচ্চ একজন চিকিৎসককে গবেষণার জন্য দেড় লাখ টাকার গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে চিকিৎসক-ছাত্রছাত্রীদের মাঝে গবেষণা অনুদান তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীদের গবেষণাতেও নাম্বার ওয়ান হতে হবে। গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে। গবেষণা হতে হবে সম্পূর্ণ। আজ আমি সত্যিই অভিভূত। এটা একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। একসঙ্গে এতো সংখ্যক চিকিৎসক-ছাত্রছাত্রীকে গবেষণার জন্য অনুদান প্রদান করা বিশ্বে বিরল। এটা গিনেস বুকে স্থান পাওয়ার দাবি রাখে।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনও গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরণের সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, গবেষণার মান বৃদ্ধি, সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসএমএমইউ। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রীদের বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে করে বিশ্বমানের গবেষণা সম্পন্ন করে রোগীদের কল্যাণ করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কেও অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা শুধু জরুরিই নয়, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা অপরিহার্য এবং এর কোনো বিকল্প নেই। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন ধরণের ফ্লু, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এই গবেষণার প্রয়োজনীয়তাকে আরও অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে। রোগ প্রতিরোধ, নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ, ভ্যাকসিন আবিষ্কার, সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া, রোগের ধরণ, গতি, প্রকৃতি সম্পর্কে জানা, চিকিৎসাসেবা ও রোগীর প্রয়োজনে নিত্যনতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধ আবিষ্কারসহ প্রয়োজন মেটাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ গবেষক শিক্ষার্থীরা।

টিআই/এমএসএ