চর্মরোগ, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ, বমি, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, দাঁত, নাক, কান, নারীদের দুধ বৃদ্ধির সমস্যা, চোখ, রাতকানা, ম্যালেরিয়া, মূত্রনালির রোগ, পাইলসসহ অন্তত ২২টি রোগের চিকিৎসায় কার্যকর মশলা। এতে রয়েছে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ। সাধারণ এই মশলা সবার রান্নাঘরেই রয়েছে। এর নাম জিরা। ছোট্ট একটা মশলা কিন্তু উপকার বিশাল। 

ভারতের নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সিং, আয়ুর্বেদে এমডি এবং মেডিসিনে পিএইচডি করেছেন। তিনি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জিরা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। যারা কোলেস্টেরলে ভুগছেন তাদের জন্য জিরা আশীর্বাদস্বরূপ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

প্রিয়াঙ্কা সিং বলেছেন, ঔষধি গুণে পূর্ণ ভেষজগুলোর বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই যদি কারও দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা অন্য কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে একজন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই জিরা ব্যবহার করা উচিত।

তিনি আরও বলন, জিরা ২২টিরও বেশি রোগে ব্যবহার করা গেলেও কখনও অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে।

এটা বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। জিরাতে উপস্থিত গুণাগুণ ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। জিরা ভেজানো পানিতে মেলাটোনিনও থাকে, এতে ভাল ঘুম হয়।

কারণ শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকই বয়স এবং রোগ অনুযায়ী সঠিক ডোজ বলতে পারেন। অত্যধিক জিরা খেলে লিভার, কিডনি, ত্বকের অ্যালার্জি, রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

এমএসএ