বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে। আর ঘরে ২০ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে রেখেছেন। তাপমাত্রার এই পার্থক্যে ‘সিক বিল্ডিং সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা শরীরে এমন অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যার আপনার-আমার ভাবনাচিন্তার বাইরে।

অফিসে ৯ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই আবারও এসিতে। রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢুকে পড়েন। মাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সেখানে ১৪-১৫ ঘণ্টা কাটছে এসি ঘরে বসে। কিন্তু সারাক্ষণ এসিতে থাকার অভ্যাস শরীরে রোগ ডেকে আনছে।

বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার এতটাই পার্থক্য থাকে যে শরীর তা মানিয়ে উঠতে পারে না। তখনই দেখা দেয় সর্দির সমস্যা। বুকে কফ জমে। বাড়ে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার মতো সমস্যা। অনেক সময় শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

রোদে বেরোলে চোখ জ্বলছে। এই সমস্যার পেছনে শুধু রোদ নয়, এসিও দায়ী। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে চোখের আর্দ্র‌তা কমে যায়। যার জেরে বাড়ে শুষ্ক চোখের সমস্যা। চোখে অস্বস্তি বাড়ে এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।

সারাক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে মাথা ধরার সমস্যা বাড়ে। আর যদি মাইগ্রেন থাকে, তখন আরও কষ্ট ভোগ করতে হয়। পাশাপাশি সারাক্ষণ এসিতে বসে কাজ করলে শারীরিক ক্লান্তি বাড়ে। কাজের গতিও কমে যায়।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে সবচেয়ে বেশি ডাস্ট অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জীবাণু বদ্ধ ঘরের মধ্যেই ঘুরে বেড়ায়। বাতাসের মধ্যে থাকা অ্যালার্জেন শরীরে প্রবেশ করে হিস্টামিনকে উদ্দীপিত করে তোলে এবং শারীরিক অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। চোখ, নাক এবং গলার সমস্যা বাড়ে। হাঁচি, কাশি, নাক ও চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে ঘাম হয় না ঠিকই কিন্তু জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। আবার এসি থেকে বাইরে বেরোলে অত্যধিক ঘাম হতে থাকে। এর জেরে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়।

পিএইচ