দাবদাহে ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত
ডায়াবেটিস রোগীদের সারা বছরই মেপে মেপে পা ফেলতে হয়। দাবদাহে তাদের আরেকটু সচেতন হওয়া দরকার। যেহেতু ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে যেকোনও মুহূর্তে, তাই সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। আবার রোদে বেরিয়ে সুগার ফল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই গরমে কয়েকটি বিষয় না মেনে চললে আপনারই ক্ষতি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান : গরমে শরীর জলশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া, ডায়াবেটিসের রোগীদের বার বার প্রস্রাব হয়। গরমে ডায়াবেটিসের রোগীদের কমপক্ষে চার লিটার পানি খাওয়া দরকার। ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে কিডনির অসুখ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পানি খেলে সেসব সমস্যাও এড়াতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
সুষম আহার : সুগার থাকলে ডায়েট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই গরমে কোনোভাবেই তেল-মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। রাস্তায় বেরিয়ে কোল্ড ড্রিংক্স, ফলের রসও খাবেন না। গরমে হালকা খাবার খান। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন পাতে।
শরীরচর্চা জরুরি : রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এই গরমে দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করা দরকার। যদি যোগব্যায়াম না করতে পারেন, তাহলে সন্ধ্যার পর হাঁটুন। সকালে রোদে হাঁটলে কষ্ট হতে পারে।
দিনে একবার ভাত খান : ডায়াবেটিসের রোগীদের ভাত কম খাওয়া উচিত। তবে, একদম ভাত খাওয়া বন্ধ করবেন না। গরমে অনেকের মধ্যে পান্তা ভাত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই খাবার গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। পান্তা ভাত খেলেও দিনে একবার খান। দিনে একবারের বেশি ভাত না খাওয়াই ভালো।
আম ছুঁয়ে না দেখাই ভালো : গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে শসা, তরমুজ, আনারস, আঙুরকে বেছে নিন। কিন্তু আম থেকে দূরে থাকুন। পাকা আম রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, বছর কয়েক সপ্তাহই পাকা আম মেলে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩-৪টি আম খেতে পারেন।
ওআরএস সঙ্গে রাখুন : রোদে বেরোলে ঘাম হচ্ছে আর ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এই অবস্থায় শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং সুগার ফল করার সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর পরিমাণে ঘাম হলে এবং অসুস্থ বোধ করে ওআরএস-এর জল খান। এতে দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
কেএ