চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রাক্তন ছাত্র। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ তাকে নিয়োগ দিয়েছেন।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা) উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমােদনক্রমে 'চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৬' এর ধারা ১২(১) অনুসারে অধ্যাপক ডা. মাে. ইসমাইল খান, বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামকে নিয়ে বর্ণিত শর্তে দ্বিতীয় মেয়াদে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়ােগ করা হলাে।

শর্তগুলো হলো

ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিযুক্তির মেয়াদ হবে চার বছর, ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তিনি বর্তমানে প্রাপ্ত বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন, তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস-চ্যান্সেলর পদ সংশ্লিষ্ট অন্যানা সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন, ভাইস-চ্যান্সেলর ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৬' এর ১৩ ধারা অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনাে সময় এ নিয়ােগ বাতিল করতে পারবেন।

এক নজরে অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল

অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইলের জন্ম মিরসরাইয়ের মধ্যম মঘাদিয়া গ্রামের শান্তা কাজীর বাড়িতে। বাবা মরহুম মো. আকরাম খান ও মা মরহুম হোসনে আরা বেগম। মিরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এসএসসি ও ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণের পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চমেক থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

১৯৮৮ সালে চমেক-এ প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ফার্মাকোলজিতে এমফিল করা এ চিকিৎসক সিডনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মেডিকেল এডুকেশনে (এমই) পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেন। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি মালয়েশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সে তিন বছর শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা আছে তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগীয় প্রধানের পাশাপাশি উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন চার বছর। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের নির্বাচিত ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

রাজনীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ইসমাইল খান। ১৯৮২-৮৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সক্রিয় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেও (স্বাচিপ)।

টিআই/জেডএস