অস্টিয়োপোরেসিস থেকে বাঁচতে পরিবর্তন আনুন জীবনধারায়
বয়স বাড়লেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে, অস্থিসংক্রান্ত সমস্যা বেশি হয়। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বে বয়সজনিত কারণে হাড়ে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তার মধ্যে অস্টিয়োপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে ঝুঁকি এড়াতে জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
১) নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, ব্যায়াম, যোগাসন করার অভ্যাস হাড়ের যত্ন নিতে সাহায্য করে। হাড়ের ক্ষয় হ্রাস করে। বয়স নির্বিশেষে সবার নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। শুধু অস্টিয়োপোরেসিস নয়, হাড়ের অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
২) হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বহু ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার এবং হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ভিটামিন ডি-এর সর্বোত্তম উৎস হল সূর্যালোক। এ ছাড়াও দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিম, বিভিন্ন মৌসুমি ফল, মাছের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার অস্টিয়োপোরেসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
৩) বিভিন্ন প্রকার মাছ, বাদাম, ব্রকোলির মতো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের ঘনত্ব তৈরি করতে সাহায্য করে। শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে হাড়ে। ক্যালশিয়াম অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সূত্র- আনন্দবাজার
এমজে