সর্দি-কাশির কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাশি হলেও অনেক সময় এই কাশি আরও বড় বিপদের বার্তা দিতে পারে। তাই কাশির ধরন দেখে সতর্ক হতে হবে।  

কাশির ধরন বলে দিতে পারে তা সাধারণ না কি যক্ষ্মার কাশি। যক্ষ্মা ব্যাক্টেরিয়া বাহিত একটি রোগ। মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক ব্যাক্টেরিয়া শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করলে যক্ষ্মা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এবং লালারস থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায়। 

কাশির রেশ যদি মাসখানেক বা তার বেশি সময় ধরে চলে, তা হলে তা সাধারণ না-ও হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে কত দিন ধরে এই কাশি ভোগাচ্ছে, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কাশতে কাশতে কফের সঙ্গে রক্ত উঠছে কি না, সেই দিকে লক্ষ রাখাও যথেষ্ট জরুরি।  

• মাসখানেক ধরে কাশি তো রয়েছেই। সঙ্গে ক্লান্তি কিছুতেই কাটতে চাইছে না। ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্ত বোধ করেন অনেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ক্লান্তি কিন্তু যক্ষ্মার প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ।

• খিদে কমে যাওয়া, খাবারে অনীহা এবং দ্রুত ওজন কমে যাওয়া কিন্তু যক্ষ্মার উপসর্গ হতে পারে। তাই কায়িক পরিশ্রম না করেও যদি অস্বাভাবিক ওজন কমতে শুরু করে তা হলে সতর্ক হতে হবে। 

• আবহাওয়ার পরিবর্তনে খুব যে ঠান্ডা লেগেছে, তেমনটা নয়। অথচ, সন্ধ্যা বা রাতের দিকে প্রায়ই জ্বর আসছে। যক্ষ্মা হলে এমন উপসর্গ দেখা দিতেই পারে। তাই সপ্তাহখানেকের উপর জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।  

• ঘুমের মধ্যে হঠাৎ দরদর করে ঘাম— যক্ষ্মার আরও একটি লক্ষণ এটি। তবে, ঘুমের মধ্যে ঘামলেই তা যক্ষ্মা না-ও হতে পারে। রজোনিবৃত্তির সময়েও কিন্তু ঘুমের মধ্যে নারীদের এমন ‘হটফ্লাশ’ হয়।

• কাশির সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে সাবধান। ফুসফুস এবং সেই সংলগ্ন অঞ্চলে প্রদাহ হলে এমনটা হতে পারে। যা সাধারণত যক্ষ্মা হলেই হয়। তাই এমন উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএফ