ঢামেকের করোনা ইউনিট
সকালে রোগীর চাপ, দুপুরের পর ফাঁকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে চাপ কমতে থাকে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এখনো ১০০টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। যারা আসছেন তাদের সবাইকে ভর্তি করা হচ্ছে। কোন রোগী এখন ফেরত যাচ্ছেন না।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটের সামনে এমন চিত্র দেখা যায়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চাঁদপুর থেকে এসে আজ (শনিবার) ঢামেকে ভর্তি হন নূরুল আমিন। তার ছেলে নিশাত আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২২ তারিখে আমার বাবার করোনা ধরা পড়ে। পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে অবস্থার অবনতি হলে বাবাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।
বিজ্ঞাপন
মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা রাবেয়া বেগমের ছেলে জাকারিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মায়ের বয়স বেশি। করোনা হয়েছে কি না বলতে পারছি না। গতকাল (শুক্রবার) থেকে হালকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আজ সকালে বেশি বেড়ে যাওয়ায় মাকে এখানে নিয়ে এসেছি।
মাঝে মাঝে করোনা রোগীর চাপ বাড়ে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে। আমাদের এখানে অনেক শয্যা ফাঁকা আছে। রোগী কম আসছে। তবে হঠাৎ হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ছে কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনসারের এক সদস্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করোনা রোগীর চাপ বেশি ছিল। এরপরে আর রোগী আসতে দেখিনি।
ঢামেক হাসপাতালে করোনা ইউনিট-২ এর ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে এসে দেখি সারি সারি অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। তখন রোগীর অনেক চাপ ছিল। এখন রোগী একেবারেই চোখে পড়ছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে ৩২ জন চলে গেছেন। শয্যা ফাঁকা আছে ১৩৯টি। গত কয়েকদিন ধরেই করোনা রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। আগে শয্যা ফাঁকা পাওয়া যেত না। এখন আসলে কোনো রোগীকে ফেরত যেতে হয় না।
এসএএ/ওএফ