মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি। কিডনির কোনো সমস্যা হলে দ্রুততম সময়র মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা হলো কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলো হয় অত্যন্ত মৃদু। তাই অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না। যেসব লক্ষণ থাকলে সতর্ক হতে হবে— 

• কাজকর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা কিডনির সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। বৃক্ক বা কিডনির মূল কাজই হলো রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। শরীরে এই কারণে অক্সিজেনেরও ঘাটতি হয়। ফলে ক্লান্ত লাগে। এমনকি, দেখা দিতে পারে রক্ত স্বল্পতাও।  

• কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। 

• মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই উপাদানগুলোর বড় ভূমিকা থাকে। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা ও হাড়ের সমস্যা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। 

• ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ মানেই ডায়াবেটিস নয়, এই উপসর্গ কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়। 

• কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে।

এনএফ