ক্যানসার চিকিৎসায় অনকোলোজি বিভাগকে টার্গেট থেরাপির দিকে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কেমোথেরাপি একসঙ্গে ১২টি না দিয়ে টার্গেট থেরাপি দিতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনকোলোজি বিভাগের আরও অনেক কিছু করার আছে।

রোববার (৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ-ব্লকে অনকোলোজি বিভাগ আয়োজিত পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভালো সেবা দেয় বলেই এত রোগী আসেন। নতুন শিক্ষক নিয়োগ করায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেবা কতটুকু বাড়ছে সেটিও গবেষণার জন্য লিপিবদ্ধ করতে হবে।

উপাচার্য বলেন, যেসব বিভাগের শতভাগ রেসিডেন্ট পাস করেছেন তাদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষকরা ভালো পড়ান বলেই শতভাগ রেসিডেন্ট পাস করেছে। একইসঙ্গে যেসব বিভাগের রেসিডেন্টরা ফেল করেছে সেসব বিভাগের শিক্ষকদেরও পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ ছাত্রদের পড়ানোর দায়িত্ব শিক্ষকদের। এক্ষেত্রে ছাত্রদেরও উচিত শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে পড়াশোনা করা। শিক্ষকরাও তাদের কাছ থেকে পড়া আদায় করবেন বলে আশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, নতুন কিছু করলে বিশ্ববিদ্যালয় আগায়। স্বপ্ন দেখলেই তা কেবল বাস্তবায়নরে জন্য কাজ করার ইচ্ছা জাগে। সেই কাজের মাধ্যমে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়। আমি স্বপ্ন দেখি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক সার্জারি হবে, আমার এখানে বায়োব্যাংক হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলোজি বিভাগের মেডিকেল অনকোলোজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, ক্লিনিক্যাল অনকোলোজির সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া শারমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুন অর রশীদসহ বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এমএ