ডায়াবেটিস হয়েছে, সেটা দীর্ঘদিন পর বুঝতে পারেন অনেকে। দেখা যায় কোনো কারণ ছাড়াই শুকিয়ে যাচ্ছেন, ক্লান্তি আর অবসাদ বোধ করছেন। 

চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে কখনও কখনও এমন কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা সাধারণত ডায়াবেটিসের বলে মনে হয় না। সেগুলো সম্পর্কেও জেনে রাখা জরুরি। 

• সাধারণ দাঁতের রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। একে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় পিরিয়োডন্টিটিস।  

• কোনো কারণ ছাড়াই শরীরের ভাঁজে ভাঁজে বিশেষ করে ঘাড়, গলা, কাঁধ, বাহুমূল, হাঁটু, কনুইয়ে কালচে ছোপ পড়তে দেখলে সাবধান হতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে গেলে রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

• ডায়াবেটিস কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল করে দেয়। ফলে হঠাৎ করে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, চুলের গোড়ায় সংক্রমণ বা ফলিকিউলাইটিস, নখের কোণে পুঁজ জমে সংক্রমণ হওয়ার পেছনেও ডায়াবেটিসের হাত রয়েছে।

• কম বয়সেই দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে। স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রেটিনা। দূরের জিনিস দেখতে বা বই পড়তেও সমস্যা হয়। 

• ডায়াবেটিস শ্রবণযন্ত্রের ওপরেও প্রভাব ফেলে। দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে চোখের মতোই কানের রক্তবাহিকা এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কানে কম শুনলেও রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।  

• ডায়াবেটিকদের মধ্যে ‘কেটোঅ্যাসিডোসিস’ খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব হলে কিটোন নামক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে মুখে ফলের গন্ধ তৈরি হয়।

• রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে ওজনে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ডায়াবেটিস হলে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তবে সকলের ওজন বেড়ে যাবে, এমনটা নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে উল্টোটাও হতে পারে। হঠাৎ ওজনে বড় রকমের পার্থক্য হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এনএফ