থাইরয়েড ঘাড়ের কাছে অবস্থিত এমন একটি গ্রন্থি, যা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে শরীরে বিঘ্নিত হয় সেই সব হরমোনের ভারসাম্য, এর ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক রোগ। অনেক সময়ে শুরুর দিকে উপসর্গ বোঝা যায় না। বুঝতে বুঝতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় চলে যায়। 

তাই কিছু উপসর্গ দেখে শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। 

• অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন? ক্লান্তি থাইরয়েডের একটি উপসর্গ। যদি অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত লাগে, তবে সতর্ক হোন।

• হঠাৎ করে অতিরিক্ত রোগা বা মোটা হয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে। এটি থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত।

• ঘাড় বা গলার কাছে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে? এই লক্ষণ কিন্তু প্রায়শই আমরা অবহেলা করি। কিন্তু থাইরয়েডের মাত্রায় গোলমাল হলেই শরীরের বিভিন্ন অংশে এই ধরনের দাগ দেখা দিতে শুরু করে। শরীরের কোথাও কোথাও মোমের মতো আস্তরণ পড়তেও দেখা যায়। 

• ঘুম হয় না? ঠিক সময়ে ঘুম আসে না? তার পর সময় মতো ঘুম ভাঙতেও চায় না? তবেও এক বার থাইরয়েড পরীক্ষা করানো দরকার।  

• উদ্বেগ এবং অবসাদ হঠাৎ বাড়তে শুরু করলেও সাবধান হওয়া দরকার। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রার ওঠানামার সঙ্গে এর সরাসরি যোগ রয়েছে। 

• ঋতুস্রাব সময় মতো হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখা জরুরি। 

• সবাই আরামে বসে আছেন, অথচ আপনি দরদর করে ঘামছেন। হঠাৎ হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। 

এনএফ