জেনে নিন ব্লাড সুগার লেভেল কত থাকলে আপনি ফিট
দেশে ক্রমশ বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগী। তাই এটি নিয়ে মানুষের মধ্যে বাড়ছে সচেতনতাও। মূলত লাইফস্টাইলগত কারণে নানা বয়সেই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এ রোগে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যে কেউ বুঝে নিতে পারেন তার আদৌ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আছে কিনা। কিন্তু কী করে বুঝবেন কত সুগার লেভেল থাকলে আপনি সুস্থ? চলুন জেনে নিই—
ঘরে ঘরে আজকাল ছেয়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিসের মতো অত্যন্ত জটিল একটি রোগ। এটি কারও একবার হয়ে গেলে তা সারাজীবনের জন্য পিছু ছাড়ে না। বাড়াবাড়িতে একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে এই রোগে। আবার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই রোগের কোনো সহজ প্রতিকার খুঁজে পাননি। কয়েক দশক আগে মূলত ৪০-৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা এই রোগে আক্রান্ত হলেও এখন নবজাতক ও যুবকরাও এর শিকার হচ্ছেন। রক্তে শর্করার মাত্রা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন এই রোগ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কত থাকা স্বাস্থ্যকর
বয়স অনুসারে রক্তে শর্করার মাত্রা কত থাকা উচিত? আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তবে খাবার খাওয়ার এক বা দু’ঘণ্টা পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার হওয়া উচিত।
কেউ যদি খালি পেটে পরীক্ষা করেন তবে ৯৯ এমজি সুগার লেভেল থাকা স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হবে। এর থেকে বেশি সুগার হলে কিন্তু আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, অন্যথায় স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হতে পারে।
আরও পড়ুন
৪০ বছর বয়স হয়ে গেলে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা নিয়মিত করা উচিত কারণ এই বয়সে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি খুব বেশি। তাই সময় থাকতেই টেস্ট করিয়ে বুঝে নিতে হবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে কিনা।
৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের ফাস্টিং সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ এমজি হওয়া উচিত, অন্যদিকে খাওয়ার পরে এই মাত্রা ১৪০ এমজি এর কম হওয়া উচিত এবং রাতের খাবারের পরে এটি ১৫০ এমজি পর্যন্ত হওয়া উচিত।
কীভাবে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়
আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনাকে যে কোনও মূল্যে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তার জন্য শুধু ওষুধ খেলেই যথেষ্ট নয়। আপনাকে খাওয়া দাওয়া ভীষণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
পাশাপাশি শারীরিক শ্রম বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস তৈরি করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল হবে। ডায়েটের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার, মিষ্টি জিনিস, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন।
এমএ