বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে জানতে চেয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তরে ডা. সামন্ত লাল সেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত। এ সময় নেপালের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশে কনিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্কনিসৃত ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮ দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধি আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনা চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে কর্মডেবা নামে একজন ভুটানের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভুটানের একজন নাগরিক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তিরত অবস্থায় আছেন। ভুটানে ঐ রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি সেটি এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরকেও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।

বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ প্রদান প্রসঙ্গে অনুরোধ করেন নেপালের রাষ্ট্রদূত।

সাক্ষাৎকালে উভয় দেশে ভ্যাকসিন সযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় নিয়েও কথা হয়।

টিআই/এমজে