কোলন ক্যানসার হলেই জানাবে প্রোটিন, সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা
বর্তমানে মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে বেড়েছে ক্যানসারের ঝুঁকি। এখন এটাকে অনেকটাই লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বেশ কিছু ক্যানসারের মধ্যে কোলন ক্যানসারের হারও বাড়ছে। তবে এই মারণব্যাধির সঙ্গে লড়াইয়ের সহজ উপায় খুঁজে পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর চেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে।
‘কেইউ ৭০’ নামে একটি বিশেষ প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই প্রোটিনটি একটি সুইচের মতো কাজ করে। এই সুইচ কোষের ডিএনএ-কে অন বা অফ করে দিতে পারে।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন আবিষ্কৃত প্রোটিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিএনএকে চিনে বের করতে পারে। তারপর সেই ডিএনএ’কে নিস্ক্রিয় করে দেয়। অথবা নষ্টও করে দিতে পারে। এর ফলে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
আরও পড়ুন
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যানসারের মূল কারণ এই নষ্ট হওয়া ডিএনএ। এটিই কোষকে ক্যানসারাস করে তোলে। এই ডিএনএকে খুঁজে বার করে নষ্ট করে দিতে পারলেই মারণব্যাধি এড়ানো যায়। ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সি মিং ম্যান বলেন, এই প্রোটিন আমাদের শরীরেই থাকে। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ এই বিশেষ প্রোটিন। তবে তার পরিমাণ কতটা রয়েছে, তা দেখা জরুরি। কারণ এর পরিমাণ কম হলে রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই একজনের কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা রয়েছে তা জানতে কেইউ ৭০ প্রোটিনের পরীক্ষা করা জরুরি। সেটার পরিমাণই বলে দেবে ক্যানসারের ঝুঁকি!
কোলন ক্যানসার সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে সেটি সঠিক সময়ে ধরা পড়া জরুরি। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে আমেরিকায় এক লাখ ২৬ হাজার ২৪০ জন কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে সেই বছরই মৃত্যু হয়েছিল ৫১ হাজার ৮৬৯ জনের।
অন্য এক গবেষক বলেন, কেইউ ৭০ প্রোটিনটি শরীরের মধ্যে নজরদারির কাজ চালায়। নজরদারির সময় কোনো নষ্ট ডিএনএ দেখলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়। নষ্ট ডিএনএ’র কোষ ধীরে ধীরে সংখ্যায় বাড়তে শুরু করে। এর ফলে ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
তাই বাওয়েল অর্থাৎ কোলন ক্যানসার ঠেকাতে হলে এই বিশেষ প্রোটিনটির পরিমাণ পরীক্ষা করা জরুরি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এমএ