প্রতি রাতেই আপনি ৮ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছেন। ঘুমানোর পরেও সকালে উঠতে অসুবিধা হচ্ছে। সকাল বা বিকেল সবসময়ই ক্লান্ত আপনি। তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে। মেয়েদের তো বটেই, ছেলেদের রক্তে আয়রনের ঘাটতিও এখনকার দিনে বড় সমস্যা। 

রক্তে আয়রনের অভাব থেকে পরে তৈরি হতে পারে নানা শারীরিক জটিলতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেহে আয়রনের অভাব ঘটছে— এই ব্যাপারটা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেন না অনেকেই। তবে কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই তা নির্ধারণ করা যায়। যেসব লক্ষণে দেখে বুঝবেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে? 

• ক্লান্তি হলো শরীরে আয়রনের ঘাটতির অন্যতম বড় লক্ষণ। আয়রনের ঘাটতি হলে শরীরের সবগুলো অঙ্গের কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। ফলে ক্লান্ত লাগে সবসময়।
 
• শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি হয়। এমনকি ঋতুস্রাব চলাকালীন নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

• নখ একটু বড় হতে না হতেই ভেঙে যায়? আয়রনের অভাব হলে এমনটা হতে পারে। আয়রন নখের যত্ন নেয়। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় আয়রনের পরিমাণ শরীরে হ্রাস পেলে নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে। 

• শরীরের সব কোষে রক্ত পরিবহণের জন্য আয়রন চাই। আয়রনের ঘাটতি থাকলে দেহের কোষগুলিতে রক্ত সমান ভাবে পৌঁছয় না। রক্তের অভাবে ত্বক অনেক সময় ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। জেল্লা চলে যায়। এই উপসর্গকে রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ বলেও ধরা হয়। 

• আয়রনের অভাবে শরীরের সব অংশে অপর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের কারণেই মূলত বুকে ব্যথা হয়। এর ফলে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্‌রোগ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা না থাকলেও ঘন ঘন বুকে ব্যথা হলে আয়রনের অভাব আছে ধরা যেতে পারে। 

এনএফ