হার্টের রিং নিয়ে ‘অস্থিরতা’ : দুই ঘণ্টার বৈঠকেও হয়নি সমাধান
হার্টের স্টেন্ট (রিং) আমদানি ও সরবরাহকারীদের সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া দাম নির্ধারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। দাম নির্ধারণে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে স্টেন্ট আমদানি ও সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ২৪টি কোম্পানি (ইউরোপিয়ান)। এদিকে, হার্টের রিং নিয়ে ‘অস্থিরতা’ ও রোগীদের ভোগান্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপরই নড়েচড়ে বসে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিংয়ের দাম সমন্বয়ে জাতীয় কমিটির সঙ্গে জরুরি মিটিংয়ে বসে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বৈঠকের পরও দাম নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান আসেনি।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রিংয়ের দাম সমন্বয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দাম সমন্বয়ের জাতীয় কমিটি নিয়ে জরুরি এই বৈঠক করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বৈঠকে জাতীয় কমিটি ১৩ সদস্যের বাইরে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে হার্টের রিং সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাকা হয়নি। ফলে বৈঠকে দাম নিয়ে কোনো সমাধানও হয়নি। এই অবস্থায় ধারণা করা যায়, হৃদরোগের জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই রিংয়ের দাম নিয়ে সৃষ্ট চলমান বিশৃঙ্খলা সহসাই কাটছে না।
গত ১২ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হার্টের স্টেন্টের (রিং) সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে, যা আগের চেয়ে কম। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত দামে স্টেন্ট বিক্রি করতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন কোম্পানির ক্ষেত্রে ‘মার্কআপ ফর্মুলা’ অনুসরণ করা হলেও রিং সরবরাহকারী ইউরোপের ২৪টি কোম্পানিকে এ তালিকায় রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন
বৈঠক প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওনারা (ইউরোপীয় রিং সরবরাহকারীরা) তো হাইকোর্টে গেছেন। ২ তারিখে কোর্ট খুলবে। তখন আদালত যে ধরনের নির্দেশনা দেবে তার আলোকে প্রয়োজনীয় কমিটি বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, প্রথমত যে প্রাইস ফিক্সড করা হয়েছে, সেটা জনস্বার্থে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, তারা যেহেতু বলছে প্রাইস সঠিক নয় সেই হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে এবং কোর্ট খোলার পর নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নতুন করে জাতীয় কমিটি কি আর কোনো নির্দেশনা দেবে? এই প্রশ্নে জবাবে বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর আর কোনো সিদ্ধান্তের দরকার নেই। কারণ সরকার যেটা করেছে জনস্বার্থেই করেছে।
বাজারে সংকট প্রসঙ্গে উপপরিচালক আরও বলেন, রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ক্রাইসিসের কথা বলছে, সেটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস। বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা সেটাই জানিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনার পর আর কোনো সিদ্ধান্তের দরকার নেই। কারণ সরকার যেটা করেছে জনস্বার্থেই করেছে।
টিআই/এমএ