ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। শুধু যে ডেঙ্গুর কারণেই প্লাটিলেট কমে, তা কিন্তু নয়। নানা কারণেই এটি কমতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট ৫০ হাজারের নিচে নামলে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট কমতে থাকলে তা ধরা পড়ে রক্ত পরীক্ষায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। এই ঝুঁকির বিষয়টি যদি আগাম জানা যায়, তা হলে সে মতো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। 

এ বিষয়টি মাথায় রেখে বিপদের মাত্রা বুঝতে একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কিটের আবিষ্কার হয়েছে ভারতে। কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে কিটটি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, মিলেছে পেটেন্টও।

তবে, এই কিট এখনও বাজারে আসেনি। যে গবেষক এবং চিকিৎসকেরা এই বিশেষ ‘বায়োমার্কার প্যানেল’ পরীক্ষার কিট আবিষ্কার করেছেন, তাদের আশা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এর গুরুত্ব বুঝে পদক্ষেপ নেবেন। 

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলছেন, কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা বোঝা যায় এনএস-১ কিংবা আইজিএম অ্যান্টিবডি পরীক্ষায়। কিন্তু, তার পরে রোগীর শরীরিক গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাবে, সেটা আগাম বোঝার কোনো উপায় নেই। শুধু কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে খেয়াল রাখতে হয়, রোগীর প্লাটিলেট কমছে কি না। যদি কমে, তা হলে ব্যবস্থা নিতে হয়। কারও ক্ষেত্রে প্লাটিলেট এত দ্রুত নেমে যায় যে, বড় বিপদ দেখা দেয়।

বায়োমার্কার প্যানেল পরীক্ষার প্রসঙ্গে অরুণাংশুর দাবি, ডেঙ্গু পজিটিভ আসার পরে প্রতি ৪৮ ঘণ্টা পর পর এই পরীক্ষা করলে খারাপ পরিস্থিতির পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। প্লাটিলেট কমবে কি না, অথবা অন্য কোনো সমস্যা তৈরি হবে কি না, সে সব আগেই বোঝা যাবে। 

তিনি আরও বলেন, শরীরে কোনো সংক্রমণ বাসা বাঁধলে লক্ষ লক্ষ প্রোটিন বেরোয়। তার কোনগুলো ডেঙ্গুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা জানতে পারা অনেকটা খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো। তাই এই বিশেষ ব্যবস্থাপনার পরীক্ষা প্রয়োজন। 

এনএফ