বয়স বাড়লে ক্ষয় হয় হাড়ের। হাড়ের রোগগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম অস্টিয়োপোরোসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনো উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগে পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এমনকি, কমে যেতে পারে দেহের উচ্চতাও। মূলত চাকতির মতো যে হাড় বা ডিস্ক থাকে, তা জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণেই মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমন হতে পারে।

শুধু অস্টিয়োপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে হরেক রকমের সমস্যা। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলে যা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সবচেয়ে মোক্ষম হাতিয়ার সঠিক খাওয়াদাওয়া।

কী কী খাবেন?

ক্যালসিয়াম: এই মৌল হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু। এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস দুধ। কিন্তু যারা দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না, তাদের গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি খাওয়া বাঞ্ছনীয়। পালং শাক, বাঁধাকপি ও শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।

ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক: এই দু’টি মৌল হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। কুমড়া বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও পালং শাকে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। মাংস, ডিম কিংবা ডাল থেকেও জিংক পাওয়া যায়।

ভিটামিন : হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোদে কিছুক্ষণ থাকলে ত্বকেই ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন কে মেলে সবুজ শাকসবজিতে। হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনও। অনেকে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কেএ