শীতের শুরুতেই জ্বর-কাশি? কী করবেন-কী করবেন না
শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। সকালের দিকে গরম থাকলেও রাতের দিকে ঠান্ডা লাগছে বেশ। এই সময় ভাইরাল সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। কাবু হচ্ছেন জ্বর, সর্দি, কাশিতে।
জ্বর এক-দু’দিনের বেশি না থাকলেও গলায় খুসখুসে ভাব, শুকনো কাশি থেকে যাচ্ছে বেশ কিছু দিন।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একজন চিকিৎসক বলছেন, শীতের শুরুতে রেসপিরেটরি ভাইরাসের আক্রমণেই জ্বর, সর্দি-কাশি, হাঁচির মতো উপসর্গ দেখা যায় আমাদের শরীরে। জ্বর কমে গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে অন্যান্য উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট ভাইরাসের হানায় এই উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে এমনটা বলা যায় না, তবে অনেকের ক্ষেত্রেই কাশি দু’সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জ্বর হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর সেরে গেলে যদি কাশি না কমে তা হলেও ফেলে না রেখে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কেবল ওষুধের উপর নির্ভর করলে হবে না, বাড়িতে ভাপ নিতে হবে। সময় বার করে নুন-জল দিয়ে গার্গেল করতে হবে। তা হলেই কাশির হাত থেকে রেহাই মিলবে।
এছাড়া আরও কিছু পরামর্শ—
এ সময়টাতে কখনও গরম লাগে, কখনও আবার ঠান্ডা লাগে। গরম লাগলেও এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দেবেন না।
ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার কিংবা পানি খাবেন না। ঠান্ডা নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।
যাদের ঠান্ডার ধাত আছে, তারা এই সময় ঠান্ডা পানির পরিবর্তে ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে গোসল করুন।
ভাইরাল সংক্রমণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। তাই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে গরম পানিতে গোসল করুন। ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখুন।
এনএফ