সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশুর হৃৎপিণ্ডের (হার্ট) বিকাশজনিত সমস্যা কারণে হৃদপিণ্ডে ছিদ্র থেকে যায়। বাংলাদেশ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের করা সাম্প্রতিক এক জরিপের কথা উল্লেখ করে বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে আট থেকে নয়জন এই হৃদপিণ্ডের ছিদ্রজনিত সমস্যায় ভুগে থাকে। 

শিশুর হার্টে ছিদ্র কেন হয়
হৃদপিণ্ডে ছিদ্র হওয়া একটি জন্মগত ত্রুটি। অর্থাৎ শিশু হার্টে ছিদ্র নিয়েই জন্মায়। বাহ্যিক কোনো কারণে হার্টে ছিদ্র হওয়ার নজির নেই।

মাতৃগর্ভে শিশুর হৃৎপিণ্ড একটি নল থেকে বিকশিত হয়, এরপর সেটি চারটি প্রকোষ্ঠে ভাগ হয়। সেই প্রকোষ্ঠের দুটি অংশ আলাদা করতে পর্দা গড়ে ওঠে।

এই প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে ছিদ্র দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. খলিফা মাহমুদ তারিক।

জেনেটিক সমস্যা যেমন: ডাউন সিনড্রোম থাকলেও শিশুর হার্টে ছিদ্র দেখা দিতে পারে।

সেইসাথে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে যদি মায়ের রুবেলা হয় তাহলে শিশুর হার্টে ছিদ্র বা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মানোর ঝুঁকি বাড়ে।

এছাড়া মায়ের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে, গর্ভকালীন মায়ের ভাইরালজনিত ইনফেকশন হলে বা মা গর্ভকালীন অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগলেও শিশুর এর ঝুঁকি বাড়ে।

সেইসাথে মায়ের মদ ও তামাক জাতীয় পণ্য খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এবং বিভিন্ন মাদক সেবনের কারণেও এমনটা হতে পারে।

এ ছাড়া গর্ভবতী থাকাকালীন মা যদি খিঁচুনি প্রতিরোধী ওষুধ, কোলেস্টরেল কমানোর ওষুধ, ব্রণের ওষুধ এবং মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন সেটিও শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

এনএফ