প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হার্টে রিং পেয়েছেন এক অসহায় মাছ বিক্রেতা এবং আরেক গাড়িচালক। তাদের মধ্যে গ্রামের মাছ বিক্রেতা আবু তাহেরকে (৫৫) দুইটি এবং গাড়িচালক শরিফুল ইসলাম (৫৯) একটি রিং পরানো হয়েছে।

রোববার (২২ অক্টোবর) হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুইজনকে তিনটি রিং পরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ‌অসহায় রোগী সেবা তহবিলে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর আজই আনুষ্ঠানিকভাবে রিং লাগানো শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে দুইজন অসহায় রোগীকে রিং পরানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন আবু তাহের, যার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানায়। আর অন্যজন হলেন শরিফুল ইসলাম, যার বাড়ি ঢাকার বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকায়।

তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রতিনিয়তই গরীব অসহায় রোগীরা একটু সুযোগ-সুবিধার জন্য এসে ভিড় জমায়। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থ ছাড় হয়ে আমাদের কাছে আসতে কিছুটা দেরি হওয়ায় আরও আগে শুরু করতে পারিনি। যদিও এখনও অনুদানের অর্থ আমাদের হাতে আসেনি, তারপরও আমরা কোম্পানিগুলো থেকে অগ্রিম রিং নিয়ে আজই সেটা লাগিয়েছি। কারণ কিছু রোগী থাকে, যারা খুবই অসহায়, এমনকি চাইলেই তাদের রিং পরাতে দেরি করা সম্ভব হয় না।

এর আগে গত ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার কাছ থেকে অসহায় রোগী সেবা তহবিলে ৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার অনুদানের চেক গ্রহণ করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

জানা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অসহায় রোগী সেবা তহবিলটি পরিচালনা করে আসছে। এর আওতায় গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এ তহবিল থেকে শিশু হৃদরোগীদের এএসডি, ভিএসডি চিকিৎসাসহ পিডিএ ডিভাইস ক্লোজার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া হাতে ও পায়ের রক্তনালীতে ব্লকের চিকিৎসার জন্য এ তহবিলের আওতায় রিং স্থাপনও করা হয়।

টিআই/এমজে