ক্লিনিক্যাল পেশায় যারা কাজ করছেন, তারা সাধারণত পিএইচডি গবেষণায় আসতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেছেন, যে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকবে তাদের অন্তত বছরে একটির বেশি ইনসেনটিভ দেওয়া যায় কি না সেজন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।

আজ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে চিকিৎসক গবেষকদের পিএইচডি প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ক্লিনিক্যাল পেশার মানুষ সাধারণত এই পিএইচডি গবেষণায় আসতে চায় না। রোগ নির্ণয় ও রোগ প্রতিরোধে গবেষণার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন গবেষণাবান্ধব। গবেষণার পরিবেশ তৈরি করার জন্য নিরলস আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, ক্লিনিক্যাল গবেষণায় চিকিৎসকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য আমরা নানান উদ্যোগ নিয়েছি। এমনকি তাদের গবেষণায় উৎসাহী করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন চিকিৎসক গবেষককে পিএইচডি প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তির নিবন্ধনপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ নিবন্ধন পত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন। এতে সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, বেসিক সাইন্স অ্যান্ড প্যারাক্লিনিক অনুষেদর  ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরপদার, প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আতিকুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০২২ সাল পর্যন্ত মাত্র দুজন চিকিৎসকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। তবে বর্তমান প্রশাসন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২৪ জন চিকিৎসককে পিএইচডি প্রোগ্রামে ইনরোলমেন্ট করেছে। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩০ জন চিকিৎসক গবেষককে পিইএচডি প্রোগ্রামে এনরোলমেন্ট দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য সম্পৃক্ত গবেষণাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

টিআই/এনএফ