জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান শুরু
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে রাজধানীতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘সারভারিক্স’ নামক হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছরের ছয় জন কিশোরীকে দিয়ে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানা গেছে, টিকা গ্রহীতাদের ১০ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে এই ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নিপসম অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের শুরুতে সারভারিক্স ভ্যাকসিন নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ। তিনি বলেন, জরায়ুমুখের ক্যান্সারে গত তিন বছরে ১৫ হাজার মা-বোন মারা গেছে। এত দিন আমরা এই জায়গাটি অ্যাড্রেসই করতে পারিনি। তবে আজকের দিনটি আমাদের জন্য আনন্দের, কারণ দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পেরেছি।
আরও পড়ুন
আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, সারভারিক্স ভ্যাকসিনটি ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৯০ শতাংশ কিশোরীকে নিশ্চিত করতে হবে। তবে আমাদের পরিকল্পনা হলো ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। আমরা তিনটি ধাপে সারা দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করব। কারণ, এই ভ্যাকসিনের স্বল্পতা আছে। পর্যায়ক্রমে পাওয়া সাপেক্ষে আমরা টিকাদান কর্মসূচি ঘোষণা করব।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুজন কিশোরীকে দেওয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেওয়া হয়েছে আর সারভিক্স টিকাটি ২৪টি দেশে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
/টিআই/এসএসএইচ/