খাদ্যাভ্যাস আর অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনের জন্যই দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এর পেছনে খাদ্যে ভেজাল আর বায়ু দূষণকেও দুষলেন দেশ বিদেশের স্বনামধন্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনকোলজি ক্লাব আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ক্যান্সার কংগ্রেসে এ কথা জানান ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা।  

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনকোলজি ক্লাব বাংলাদেশ ও ক্যান্সার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ হাই বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে ক্যান্সার রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা আশঙ্কাজনক। দেশে বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত, যার অধিকাংশই চিকিৎসার আওতার বাইরে। 

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার আধুনিকায়নে মানসম্পন্ন ও দক্ষ জনবল তৈরি করাই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য জানিয়ে ডা. হাই বলেন, ক্যান্সার জয় করতে এবং দেশের ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার রোগী ও তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রতি জেলায় ক্যান্সার ইউনিট গড়ে তোলার সরকারি সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। তরুণ চিকিৎসকদের ক্যান্সার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহবান জানান এ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ।

দুই দিন ব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একাডেমিক পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ইতালির বলোনিয়া ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর, ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল ও রাজীব গান্ধী ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। 

এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাজ্যের যুক্তরাজ্যের রয়েল মার্সডেন হাসপাতাল, সেন্ট বার্থোলোমেয়া হাসপাতাল, কেএইচসিসি এডুকেশন ও ট্রেনিং একাডেমি, হুইপস ক্রস ইউনিভার্সিটি, নেপালের ন্যাশনাল হসপিটাল অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার, ভারতের অ্যাপোলো হসপিটাল, পুষ্পাগাতি সিংঘানিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট, যুক্তরাষ্ট্রের ইউপিএমসি হিলম্যান ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ স্কুল অব মেডিসিন, পেনসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটি, মহাত্মা গান্ধী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ আরও অনেক বিশ্বখ্যাত ক্যান্সার হাসপাতালের ক্যান্সার চিকিৎসক ও গবেষক। 

সবমিলিয়ে এই আয়োজনে বিশ্বের ১১টি দেশের মোট ৪৭ জন বিখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ যোগ দিয়েছেন। বিশ্বের মোট ৯০০ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষক উপস্থিত হয়েছেন।

এসএম