বাংলাদেশে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে হাসপাতাল করতে চায় ভারতীয় চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ডিসান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি, এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে তারা। দেশের চারটি অঞ্চলকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে, এর মধ্যে যেকোনো একটি অঞ্চলে এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন ডিসান হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সজল দত্ত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এসেছি। চারটি অঞ্চলকে আমরা পরিকল্পনায় নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট অন্যতম। আশা করছি, আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারব।

সজল দত্ত বলেন, গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য দৈনিক সবমিলিয়ে ৯ হাজার ভিসা দেয়, যা বিশ্বের আর কোনো দেশ এভাবে দেয় না। আমরাও রোগীর ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করি। বিশেষ করে রোগীদের যেসব দরকারি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিয়ে দেই। কিন্তু অন্যান্যরা এগুলো দিতে ৮-১০ দিন সময় নেয়।

সজল দত্ত বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী ভারতে যান। মাঝে কোভিডের সময় কমে গিয়েছিল, কিন্তু এখন আবার প্রচুর যাচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে বেশি রোগী আসে ৪টি ডিপার্টমেন্টে। প্রথমত কার্ডিয়াক, এ ডিপার্টমেন্টে বিশেষ করে হার্টে বাইপাস, স্ট্যান্টের রোগী বেশি আসে। এছাড়া ক্যান্সার, নিউরো চিকিৎসা এবং গ্যাসট্রোলিভারের রোগীরাও চিকিৎসা নিতে ভারতে আসেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা আসেন, তাদের কয়েকটি প্রত্যাশা থাকে, বিশেষ করে সুচিকিৎসা, সুনির্দিষ্ট খরচ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাপোর্ট ও দেখভাল। এসবের বেশি কারও প্রত্যাশা থাকে না। এছাড়া তাদের প্রত্যাশা থাকে যেন তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করে ফিরে যেতে পারে। এই বিষয়টিতে ডিসান আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়।

টিআই/এসকেডি