ফাইল ছবি

উচ্চ কোলেস্টেরল হলো একটি নীরব অবস্থা, যা আপনার ধমনীতে ধীরে ধীরে অনেক উপসর্গের উদ্রেক না করেই তৈরি হতে পারে। এটি আপনার গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এখানে উচ্চ কোলেস্টেরলের একটি সতর্কতা চিহ্ন, যা আপনার চোখের চারপাশে পাওয়া যেতে পারে।

হাই কোলেস্টেরলের সঙ্গে এখন কম-বেশি সবাই পরিচিত। দৈনন্দিন জীবনধারায় নিজেদের কিছু গাফিলতির কারণেই আমরা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগি। এ সমস্যায় রক্তপ্রবাহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। যার ফলে রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা পড়ে। এতে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে অনেক উপসর্গই দেখা দিতে পারে। তবে চোখের কিছু উপসর্গ দেখলে সহজেই বোঝা যায়, শরীরে এ রোগ বাসা বেঁধেছে কি না। কোলেস্টেরল বাড়লে চোখে কোন কোন লক্ষণ দেখা দেয়, জেনে নিন।

জ্যানথেলাসমাস
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে চোখের পাতার ওপরের পৃষ্ঠে সাদা বা হালকা হলুদ রঙের দাগ দেখা যায়। এটা সামান্য উঁচুও হতে পারে। অনেকটা পিণ্ডের মতো দেখায়। এর নামই জ্যানথেলাসমাস। এতে চোখে কোনও ব্যথা বা চুলকানি হয় না।

জ্যানথেলাসমাস হওয়ার আরও অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রে তা কোলেস্টেরলের কারণেই হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্যানথেলাসমাসে আক্রান্ত অর্ধেক ব্যক্তিরই উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে।

কর্নিয়াল আর্কাস
কোলেস্টেরলের আরও একটি উপসর্গ হল চোখের মণির চারপাশে সাদা গোল গোল দাগ। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘কর্নিয়াল আর্কাস’। চোখে এই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসাও উচ্চ কোলেস্টেরলের একটি উপসর্গ। অত্যধিক টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ব্যবহার করলে এমনটা হয়েই থাকে। কিন্তু যদি কোনও কারণ ছাড়া মাঝেমাঝেই এমন হয়, তাহলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্যও হতে পারে। তাই দৃষ্টিশক্তি কমে আসলেই চিকিৎসকের কাছে যান।

কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু টিপস

১. রোজকার ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাদ্য রাখতে হবে। কম লবণযুক্ত খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

২. চর্বিজাতীয় খাবার, চিপস, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

৪. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা একেবারেই ত্যাগ করুন। অ্যালকোহল পরিমিত পরিমাণে পান করতে হবে।

৫. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

৬. স্ট্রেস, মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

Disclaimer: এই আর্টিকেলটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন।