প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ গ্রহণ করছেন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

গবেষণা ও মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২৩ লাভ করেছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন। এসময় তিনি এ অর্জনের সব কৃতিত্ব হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের দেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে হৃদরোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসময় গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণা ও মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২৩’ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা, কর্মচারীরা।

পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা, কর্মচারীরা পরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দক্ষতার সঙ্গে হাসপাতাল পরিচালনাসহ রোগীদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং তার নেতৃত্বে পদক প্রাপ্তির বিরল এ গৌরব অর্জনে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় পরিচালক বলেন, এ অর্জন হাসপাতালে কর্মরত সবার। তিনি হাসপাতালে আগত রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।

জানা গেছে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এবং জাপান সরকারের কারিগরি সহায়তায় ১০টি কেবিন এবং ১১০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এটি দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিশেষায়িত ১২৫০ শয্যার হৃদরোগ হাসপাতাল। এ হাসপাতালে ৪০ শয্যার করোনারি কেয়ার ইউনিট, ৫০ শয্যার অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক আইসিইউ, ১১ শয্যার ভাস্কুলার আইসিইউ, ১৩ শয্যার পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক আইসিইউ, ৭টি অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক সার্জারি অপারেশন থিয়েটার, ২টি ভাস্কুলার অপারেশন থিয়েটার ও একটি ইমার্জেন্সি ভাস্কুলার অপারেশন থিয়েটার চালু রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি পর্যায়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক ৫টি প্রযুক্তি (রোটা, ওসিটি, এইচডি আইডাস, আইভিএল, টাভার) চালু করা হয়েছে। সংযোজিত আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে রিং স্থাপন করা হচ্ছে। টাভার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুক না কেটে বিশেষ ক্যাথেটারের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডে অ্যাওটিক ভাল স্থাপন করা হচ্ছে।

এছাড়াও চিকিৎসা কার্যক্রমের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে এমডি (কার্ডিওলজি), এমডি (শিশু কার্ডিওলজি) এম এস (সিডিএনটিএস) এম এস (ভাস্কুলার সার্জারি), এসি পি এস কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিওলজি এবং ডিপ্লোমা কার্ডিওলজি কোর্স চালু আছে।

টিআই/এফকে