চেম্বার-অপারেশন বন্ধ
রোগীদের ‘জিম্মি’ করে কেন আন্দোলনে চিকিৎসকরা?
সেন্ট্রাল হসপিটালে প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার (১৭ জুলাই) ও মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ওজিএসবি ঘোষিত কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়েছে চিকিৎসকদের অন্য সংগঠনগুলোও।
দুই চিকিৎসকের মুক্তির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসকরা আন্দোলন করে আসলেও এবার চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ করে ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ চিকিৎসকদের নিজ কমিউনিটিতেই।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসক গ্রেপ্তার ইস্যুতে অন্য সব আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করলেও রোগীদের জিম্মি করে ওজিএসবি ঘোষিত এ কর্মসূচিতে নিজেদের বিবেকের কাছেই বিব্রতবোধ করছেন অসংখ্য চিকিৎসক। এদিকে, নিজেদের নাম জড়িয়ে এমন কর্মসূচি ঘোষণাকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
চেম্বার বন্ধ রাখার কর্মসূচি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা
রোগীদের জিম্মি করে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধের পক্ষে কথা বললেও অন্য পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ ‘রোগীদের জিম্মি’ ও ‘আন্দোলনে রোগীদের হাতিয়ার’ বানানো হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বেসরকারি এক টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মিসবাহ লেখেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা চাই। ডা. মুনার মুক্তি চাই। ডা. মিলিকে নির্দোষ মনে করি। কিন্তু দাবি আদায়ে সেবা বন্ধ করে দেওয়াকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না।
আরও পড়ুন : জামিন মেলেনি সেন্ট্রালের সেই দুই চিকিৎসকের
রাসেল আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, এভাবে যদি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আর্মি– সবাই কর্মবিরতি করে তখন কী হবে? সেবা খাতে আন্দোলন হবে, প্রতিবাদ হবে। কিন্তু জিম্মি করা অবৈধ।
প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। চিকিৎসকদের কেউ কেউ চেম্বার-অপারেশন বন্ধ না করে ভিন্ন কোনো কর্মসূচি নিতে ওজিএসবিকে আহ্বান জানিয়েছে।
চিকিৎসক গ্রেপ্তার ইস্যুতে অন্য সব আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করলেও রোগীদের জিম্মি করে ওজিএসবি ঘোষিত এ কর্মসূচিতে নিজেদের বিবেকের কাছেই বিব্রতবোধ করছেন অসংখ্য চিকিৎসক। এদিকে, নিজেদের নাম জড়িয়ে এমন কর্মসূচি ঘোষণাকে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)
ডা. আহমেদ লিংকন নামের এক চিকিৎসক ফেসবুকে লেখেন, সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসকের বেআইনি গ্রেপ্তার বা আদালতে জামিন না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি দিয়েছে ওজিএসবি। এ কর্মসূচি বিএমএর নয়। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। বিএমএ হুট করে কোনো আলোচনা বা সংবাদ সম্মেলন না করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত দেবে না। তবে, এ কর্মসূচিতে বিএমএর সমর্থন আছে এবং চিকিৎসক সমাজ ওজিএসবির কর্মসূচিতে একাত্ম।
তিনি আরও লেখেন, ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখা সম্ভব কিন্তু ইমার্জেন্সি অপারেশন বন্ধ রাখা সম্ভব কি? এতে গাইনি চিকিৎসকরা আরও মামলার সম্মুখীন হতে পারেন। ওজিএসবি নেতাদের বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
চিকিৎসাসেবা কখনোই বন্ধ হওয়া উচিত নয় : ডা. বে-নজির আহমেদ
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকিৎসা এমন একটি সেবা, যা আসলে কখনোই বন্ধ হওয়া উচিত নয়। যেকোনো দেশেই, যেকোনো আন্দোলনে চিকিৎসকদের আলাদা করে রাখা হয়। চিকিৎসা বন্ধ করে কোনো কিছু করা এ পেশার নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এক্ষেত্রে ওজিএসবি চিকিৎসা বন্ধ রেখে যে কর্মসূচিটি দিয়েছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তারা অন্য কোনো কর্মসূচির বিষয়েও ভাবতে পারত।
তিনি বলেন, রোগীদের জিম্মি করা বা প্র্যাকটিস বন্ধ করে দেওয়া– এটাকে আমি সমর্থন করি না। বরং আমি মনে করি যে, তাদের দাবি নিয়ে বিভিন্ন মতবিনিময় করা, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেওয়া, মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করা– এগুলোতেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসক কারাগারে
ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, চিকিৎসকদেরও যেমন যেকোনো পরিস্থিতিতে সেবা চালিয়ে যাওয়া উচিত, দেশের মানুষকেও চিকিৎসকদের প্রতি একটা পজিটিভ মনোভাব রাখা উচিত। কিন্তু এ জায়গায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন আগে সেন্ট্রাল হসপিটালে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দুজন চিকিৎসক পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন, আপনারা জানেন চিকিৎসকের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেকোনো রোগীরই মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু সেটার কারণে ফৌজদারি আইনে চিকিৎসকদের আটক করা এবং জেলে নেওয়া, এটাও কাঙ্ক্ষিত নয়। চিকিৎসকরা তো তার পেশাগত দায়িত্ব পালনেই এসেছেন, তারা তো অপরাধী নন।
রোগীদের জিম্মি করে প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধের পক্ষে কথা বললেও অন্য পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ ‘রোগীদের জিম্মি’ এবং ‘আন্দোলনে রোগীদের হাতিয়ার’ বানানো হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টিকে নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছেন
এরকম ‘হঠকারী’ কর্মসূচি বিএমএ কখনোই সমর্থন করে না : মহাসচিব
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের চিকিৎসক সংগঠনগুলো বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের কার্যালয়ে তাদের বিষয়াদি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে। যেকোনো চিকিৎসক এবং যেকোনো সংগঠন আমাদের কার্যালয়ে আসতে পারে। এমনকি তারা আমাদের সভাপতি ও মহাসচিবের সঙ্গেও কথা বলতে পারে। এটাকে বলা হয় শুধু মতবিনিময়।
তিনি বলেন, ওজিএসবির সঙ্গে বিএমএ সভাপতির এমন একটা মতবিনিময় ছিল। কিন্তু বিএমএ ও সভাপতির নাম উল্লেখ করে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এসব কর্মসূচি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নয়।
‘বিএমএর কোনো কর্মসূচি নিতে হলে বেশকিছু রুলস ও ক্রাইটেরিয়া আছে। আমরা আমাদের পুরো এক্সিকিউটিভ বডিকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই কর্মসূচি ঘোষণা করি। আমরা যেহেতু চিকিৎসকদের প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন, আমাদের কর্মসূচিগুলো সেভাবেই হয়। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কখনো নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।’
ওজিএসবির এ আন্দোলনকে বিএমএ সমর্থন করে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন নেয়নি, নেবে না এবং সমর্থনও করে না। আমরা যদি তাদের কর্মসূচিকে সমর্থন করতাম, তাহলে আমরাই বরং এ সিদ্ধান্ত নিতাম। এটা বরং ওজিএসবিকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনারা কেন বিএমএর নাম নিজেদের কর্মসূচিতে যুক্ত করেছেন?
স্বাচিপের কোনো কর্মসূচি নয়, তারপরও যৌক্তিক : স্বাচিপ সভাপতি
চেম্বার ও অপারেশন বন্ধে জনগণের ভোগান্তি বাড়বে– উল্লেখ করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুদিন প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখার কর্মসূচিটি স্বাচিপের নয়। এটা পুরোপুরি ওজিএসবির কর্মসূচি। তবে, যে দাবিতে তারা কর্মসূচি দিয়েছে, আমরা মনে করি সেটি যৌক্তিক। কারণ, শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি তিনবার জামিন চাওয়া হলেও এখনো তাদের জামিন দেওয়া হয়নি। তারা তো রোগীর অবস্থা খারাপ দেখেই চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে বাঁচাতে গিয়েছিল। তারা তো কোনোভাবেই দায়ী হতে পারে না। অথচ তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : অভিযোগ প্রমাণের আগেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার না করার আহ্বান
তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে চিকিৎসক সমাজ খুবই উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ। তারা বিএমএ ও স্বাচিপকে ছেড়েও কথা বলছে না। তাদের অভিযোগ, আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এগুলো নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে। এ অবস্থায় আসলে চিকিৎসকদের কর্মসূচির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা স্বাচিপের পক্ষ থেকে আন্দোলনের নৈতিক সমর্থন দিয়েছি।
চেম্বার বন্ধ রাখায় রোগীরা দুর্ভোগে পড়বে কি না– জানতে চাইলে স্বাচিপ সভাপতি বলেন, প্রাইভেট হাসপাতালে চেম্বার বন্ধ থাকলেও সরকারি হাসপাতালগুলো চালু রয়েছে। রাজধানীসহ এখন সারা দেশেই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু আছে। আপাতত দুটা দিন রোগীদের সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হবে। রোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ হলেও ডাক্তাররা কী করবে? তাদের তো আসলে কিছুই করার নেই।
রোগীরা নয়, নিজেরাই জিম্মি হয়ে আছি : ওজিএসবি
গাইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ওজিএসবির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ আমরা চেম্বার করছি না। আমাদের ডাকে চিকিৎসকরা এগিয়ে এসেছেন, তাদের চেম্বারও বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তিগত চেম্বার ব্যতীত সব হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। এক্ষেত্রে আমরা শুধু ব্যক্তিগত চেম্বার ও ব্যক্তিগত রুটিন অপারেশনগুলো করব না। তবে, ইমার্জেন্সিগুলো সব হাসপাতালেই চালু থাকবে।
আরও পড়ুন : ডা. সংযুক্তা অনৈতিক কাজ করেছেন, ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে বিএমডিসি
‘এই প্রতিবাদ শুধু গাইনি চিকিৎসকদের নয়, এটা সব সোসাইটির চিকিৎসকদের প্রতিবাদ। এ কর্মসূচিতে রোগীদের জিম্মি করা হচ্ছে না। কারণ, আমাদের সব হাসপাতালে সবধরনের কার্যক্রম চালু আছে। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও ইমার্জেন্সিসহ সব চালু আছে। আমরা শুধু আমাদের রুটিন চেম্বার ও অপারেশন করছি না। এই দুদিন চেম্বার বন্ধ থাকলে কোনো রোগীর খুব বেশি ক্ষতি হবে না। যেমন- যখন কোনো সরকারি ছুটি থাকে, ঈদ থাকে, তখন কিন্তু এরকম দু-তিন দিন চেম্বার বন্ধই থাকে। এবারও সেরকম দুদিন বন্ধ থাকবে। আশা করছি এতে করে চিকিৎসাসেবা খুব বেশি ব্যাহত হবে না।’
ডা. সালমা রউফ বলেন, রোগীদের জিম্মি নয় বরং আমরা নিজেরাই জিম্মি হয়ে আছি। কারণ, আমাদের অযথাই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জামিন দেওয়া হচ্ছে না, কোনো বিচারের আগেই জেলখানায় চলে যেতে হচ্ছে। সুতরাং জিম্মি যদি বলতে হয়, তাহলে আমাদেরকেই বলতে হবে। এখন আমরা যদি একটু প্রতিবাদ না করি, তাহলে সমস্যাগুলোর কীভাবে সমাধান হবে? তা না হলে আমরা কাজ করব কীভাবে? এজন্য আমরা বলি যে, এই দুদিনে যদি রোগীদের সাময়িক কিছুটা কষ্টও হয়, তারপরও বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের কর্মসূচিগুলো পালন করতেই হবে। তবে, সামনের দিনে আমরা ভিন্ন কোনো কর্মসূচি নিয়ে ভাবার চেষ্টা করব।
এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) ওজিএসবির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেন্ট্রাল হসপিটালে প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার (১৭ জুলাই) ও মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সারা দেশের প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে চিকিৎসকদের ৪৫টি সোসাইটি সম্মতি জ্ঞাপন করে এবং অংশগ্রহণের কথা জানায়।
টিআই/এসএসএইচ/এমএআর/