সিজারে শুরু সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অপারেশন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে হাসপাতালটির প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের উদ্যোগে একজন প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ কার্যক্রমও চালু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাসপাতালটির অন্তঃবিভাগ ও অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা আজ সকালে একজন প্রসূতি মায়ের সিজারের মাধ্যমে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করেছি। এছাড়াও আজ সকালে গাইনিতে ৫টি অপারেশন হয়েছে। ব্রেস্ট সার্জারি হয়েছে ২টি, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি হয়েছে একটি।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অবকাঠামো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৭ ডিসেম্বর থেকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক) নিয়ামত রোগী দেখছেন। প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবলের কাছ থেকে সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন সেবা গ্রহীতারা। এখানে ল্যাবরেটরি প্যাথলজি টেস্ট করা হচ্ছে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু কারণে অন্তঃবিভাগ এবং অপারেশন চালু করতে বিলম্ব হয়েছে। কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট না আসার কারণে, যার কারণ ছিল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। তবে আমরা আউটডোর এবং প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম আরও আগেই শুরু করে দিতে পেরেছি।
উপাচার্য বলেন, আমাদের আরও জনবল লাগবে। হাসপাতালটি পরিচালনা করতে ১৮০০ মতো জনবল প্রয়োজন। এরইমধ্যে ৪০ হাজারের মতো পরীক্ষা হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি রোগীর চিকিৎসা নিয়েছে। এমআরআই ৫৫৬টি, সিটি স্ক্যান ৩১৩টি, বিএমডি ১১টি, বায়োকেমিস্ট্রি টেস্ট ২০ হাজার ৩৭৫টি, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি ৩ হাজার ৪৭৬টি, ভাইরোলজি ২ হাজার ২৫০টি, হেমাটোলজি ২ হাজার ৯টি, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ৪ হাজার ৯৮৩টি অর্থাৎ মোট ৩৩ হাজার ৯৩টি টেস্ট করা হয়েছে। এছাড়া ইসিজি ৮১টি, ইটিটি ৯টি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, যেসব রোগের জন্য রোগীদের দেশের বাইরে যেতে হয়, সেই চিকিৎসাগুলোই আমাদের এখানে হবে। বিশেষ করে ক্যান্সার, ইনফার্টিলিটি, হেয়ার ইমপ্লান্ট করতে রোগীরা দেশের বাইরে যায়। কার্ডিয়াক সার্জারি, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীরা বাইরে যায়। এখন থেকে তাদের আর বাইরে যেতে হবে না, সবধরনের সেবা আমরা দেব। রোবটিক সার্জারির জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
টিআই/জেডএস