বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম আগামী ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২৬ জুন) বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না আসার কারণে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করতে বিলম্ব হয়েছে। তবে আমরা আগামী মাস অর্থাৎ জুলাই মাসের ৫ তারিখে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম চালু করব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হবে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় এক হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন আট থেকে নয় হাজার রোগী সেবা নিচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে  সব জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসাসেবা রোগীরা এখানে যাতে পায় এবং রোগীদের যাতে বিদেশে যেতে না হয়।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে বিএসএমএমইউকে উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল অবস্থান আছে। এমনকি বিশ্ববাসী এটা অকপটে স্বীকার করেন।

সংসদ সদস্য বেগম ফরিদা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবায় সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। এখানে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বর্তমানে দেশের বিশিষ্টজন, ভিআইপি ব্যক্তিরা এখানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।  

বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান বলেন, গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং জটিল জটিল রোগের  চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদের ভাতা বা শিক্ষা বৃত্তি বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিক ও জরুরি।

টিআই/জেডএস