মাসিক ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অবরুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। চিকিৎসকদের অনড় দাবির মুখে একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন এবং সাত দিনের সময় চান তিনি। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, আবারও চিকিৎসকদের ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় কার্যকরী কোনো ঘোষণা ছাড়া ভিসি কার্যালয় ছাড়বেন না।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সাথে কথা বলতে আসেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। 

আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে বকেয়া ভাতা শিগগিরই দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তবে চিকিৎসকদের প্রথম দফা দাবি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান এবং স্থান ত্যাগ করেন।

উপাচার্য বলেন, আমরা চিকিৎসকদের দাবির সাথে একমত। কিন্তু কোনো দাবিই তাৎক্ষণিক মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে টাকা নেই। আমরা কীভাবে তাদের বকেয়া দেব? আমরা আজই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলব, দ্রুতই যেন তাদের বকেয়াগুলো দিয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করব।

এ সময় উপাচার্য চিকিৎসকদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে সাথে সাথেই চিকিৎসকরা হাত নেড়ে ফিরবেন না বলে জানান। পরে ভিসি পুনরায় তার অফিসে চলে যান।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একজন ডা. তরিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভিসি মহোদয় এরকম আশ্বাস আমাদের অনেকবার দিয়েছেন। দাবি তো মানেননি বরং আমাদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে হেনস্তা করেছেন। আমরা আর ভিসিকে সময় দিতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমরা এখানে অবস্থান করছি লিখিত ঘোষণার জন্য। ভিসি স্যার নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করবেন, তারপরই আমরা জায়গা ছাড়ব।

টিআই/এমএ