বিভিন্ন দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয় ছাড়তে না চাইলে দায়িত্ব পুলিশ ও আনসার সদস্যরা চিকিৎসকদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্যের মৌখিক আশ্বাস দিয়ে চলে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, ভিসি অনেকবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। একবারও তিনি কথা রাখেননি। আজ আমরা দাবি নিয়ে এসেছি, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর অশোভন আচরণ করা হয়েছে।

তারা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু ভিসি চলে যাওয়ার পর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আমাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ভেতর থেকে আমাদের ওপর বোতল দিয়ে ঢিল মারা হয়। এরপর চিকিৎসকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমরা সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে এসেছি। দাবি মানলে আমরা চলে যাব।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

এসময় চিকিৎসকরা ৫০ হাজার টাকা ভাতা দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তারা বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তারা বলেন, ২০১৯-২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্স কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯-২০ সেশনের স্টুডেন্টরা সেই ভাতা নিয়মিত পেলেও এর পরের বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০২২-২৩ সেশনের নন-রেসিডেন্ট ডাক্তাররা ১২ মাসের মধ্যে মাত্র ৩ মাসের ভাতা পেয়েছে, বাকি ৯ মাসই বকেয়া। কোর্সে থাকাকালীন অন্য কোনো চাকরি, ডিউটি, চেম্বার ইত্যাদি করার অনুমতি না থাকায় এই কোর্সের ডাক্তাররা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একেবারেই শূন্য হাতে ধার-কর্য করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দেশসেরা মেধাবী এই ডাক্তারদের।

টিআই/ওএফ