সিজারের পর ৭ উপায়ে কমিয়ে ফেলুন পেটের চর্বি
নরমাল ডেলিভারির ব্যথা এড়ানোর জন্য বর্তমানে সিজার করেই প্রসব করানো হয়। এরপর অনেকের পেটের চর্বি বেড়ে যায় এবং সেটা কমানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
সাধারণত মনে করা হয়, প্রসবের সময় সিজার করা হলে গর্ভাবস্থার পর পেটের চর্বি কমানো কঠিন হতে পারে। যদিও একটি সিজারে পেটের অংশে বড় অস্ত্রোপচার করা হয়, তবুও কিছুটা সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অতিরিক্ত পেটের চর্বি কমাতে সক্ষম হতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
সিজারের পর ৭ উপায়ে পেটের চর্বি কমাতে পারেন–
বাচ্চাকে স্তন্যপান করান
সিজারের পর ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। বাচ্চাকে ছয় মাস শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর ফলে পেটের অনেক অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।
ছয় সপ্তাহ পর থেকে শরীরচর্চা করুন
শিশুর জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। ছয় সপ্তাহের আগে পেটের ব্যায়ামগুলো কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না। শিশুর জন্ম সিজারের মাধ্যমেই হোক আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হোক, মায়ের পক্ষে যখনই স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব হবে, তখন থেকেই ব্যায়াম শুরু করতে হবে।
ভারি ব্যায়াম নয়
ডেলিভারির পর প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময়ে ভারি ব্যায়াম করা যায় না। তবে সাধারণ ব্যায়াম শুরু করতে পারেন, যেমন– হাঁটা। শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে দিনে ৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করা ভালো। চাইলে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারেন।
হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন
ছয় মাস পর থেকে অন্য ব্যায়াম শুরু করা ভালো। তবে হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিত। পেটের ব্যায়ামগুলো আট-নয় মাস পর শুরু করা ভালো। যোগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায়, যেমন- প্রাণায়াম। এতে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।
পেটে বেল্ট পরে থাকা
খাওয়া, ঘুমানো ও স্নান ছাড়া সবসময় পেটে বেল্ট পরে থাকুন। এটা বিরক্তিকর হলেও অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান
শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স রক্ষা করে পানি। পানি দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে খিদে কম পাবে ও পেট ভরা থাকবে।
খাওয়া-দাওয়া মেপে করুন
ভাত, মিষ্টিসহ শর্করা জাতীয় অন্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যারা গর্ভধারণের আগে থেকেই একটু মোটা হয়ে গেছেন, তাদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
হতাশ হবেন না
সিজারিয়ান অপারেশনের পর কিছুদিন ভারি ব্যায়াম করতে পারবেন না বলে আগের চেহারা হঠাৎ করে ফিরে পাবেন না– এটা ভেবে হতাশ হবেন না। ধৈর্য ধরুন এবং নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলেই ফিরে পাবেন মেদবিহীন আকর্ষণীয় দেহ।
/এসএসএইচ/